শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

চানক্য বচন

‎15 GREAT THOUGHTS BY CHANAKYA: >> A MUST READ FOR ALL <<

1) "Learn from the mistakes of others... you can't live long enough to make them all yourselves!!"

2)"A person should not be too honest. Straight trees are cut first and Honest people are screwed first."

3)"Even if a snake is not poisonous, it should pretend to be venomous."

4)"There is some self-interest behind every friendship. There is no friendship without self-interests. This is a bitter truth."


5)" Before you start some work, always ask yourself three questions - Why am I doing it, What the results might be and Will I be successful. Only when you think deeply and find satisfactory answers to these questions, go ahead."


6)"As soon as the fear approaches near, attack and destroy it."


7)"The world's biggest power is the youth and beauty of a woman."


8)"Once you start a working on something, don't be afraid of failure and don't abandon it. People who work sincerely are the happiest."


9)"The fragrance of flowers spreads only in the direction of the wind. But the goodness of a person spreads in all direction."


10)"God is not present in idols. Your feelings are your god. The soul is your temple."


11) "A man is great by deeds, not by birth."


12) "Never make friends with people who are above or below you in status. Such friendships will never give you any happiness."


13) "Treat your kid like a darling for the first five years. For the next five years, scold them. By the time they turn sixteen, treat them like a friend. Your grown up children are your best friends."


14) "Books are as useful to a stupid person as a mirror is useful to a blind person."


15) "Education is the Best Friend. An Educated Person is Respected Everywhere. Education beats the Beauty and the Youth."

মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৩

নতুন বছর--

শুভ নববর্ষ। যদিও সব বছর গুলো একই রকম হয়ে গেছে; একটি থেকে আরেকটা আলাদা করতে পারি না।
প্রতি বছরই মনে মনে একটি লক্ষ্য ঠিক করে নিই, আর কোথাও পারি আর না পারি, ব্লগে নিদিষ্ঠ সংখ্যক পোস্ট দেব। গত বছরের কর্মকান্ড দেখে আমি নিজেই হতাশ। শুধু ঘুমালাম, খাইলাম, অফিসে আইলাম আর বাসায় গেলাম। কী অদ্ভুত জীবন যাপন করছি!!

সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১২

নতুন বন্ধু ম্যাক্স-ইনফিনিটিভ

গত শুক্রবার হঠাৎ করেই নিয়ে আসলাম আমার একটি প্রিয় বন্ধুকে। আর তার পর থেকেই সে আমার প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। অফিসে পৌছে দেবার পর অপেক্ষা করতে থাকে বাসায় ফিরিয়ে আনবার জন্য। খুব অল্প সময়ের মধ্যই তার দুর্বার গতির মাধ্যমে আমার অসহনীয় অপেক্ষার পালাকে দূরে সরিয়ে আমার বন্ধুর মত সাহায্য করেই চলেছে। খুব উপভোগ করছি ওর সাথের সময় গুলোকে। সব সময় অপেক্ষা করি কখন ওর সাথে বাইরে বের হব। আমার সাথে ওর বন্ধুত্ত্বটাকে সবার কাছে সমান ভাবে সমাদৃত হয়নি; সমস্যাটা আমাদের না সমস্যাটা আমাদের নিজেদের কে নিজেদের ঠকানোর।।
বন্ধুটি কে, সেটা বুঝতে আর বাকী থাকবার কথা না। সে আমার ম্যাক্স-ইনফিনিটিভ

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১২

আর্ট ফিল্ম: কাটাকুটি

প্রায়ই সিনেমা দেখে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। কম বেশী সব রকমই দেখা পড়ে। সব গুলা য়ে বুঝতে পারি তা না; তার পরেও দেখি। তেমন কোন পছন্দ নেই বললেই চলে। এখন যেরকম পছন্দ করছি না, আগামীকাল আবার ও রকমটাই দেখতে মন চাই।
কাটাকুটি সিনেমা টি বেশ কয়েকদিন ধরেই পড়ে ছিল,ইচ্ছা হচ্ছিল না দেখতে; আজ আবার হঠাৎ করেই মনে হল দেখে ফেলি। সময়টা একটুও নষ্ট হয়নি বলেই আমার ধারনা। আরো অবশিষ্ঠ আছে এমন মনে হতে হতেই শেষ হয়ে গেল; সেই ফাঁকে হালকা ছোঁয়াই মন টাকে নাড়াও দিল। কোথায় আছি ; কিসের ভিতর আছি। কিছু কিছু সংলাপ মনের মধ্যে এখন বেজে চলেছে। তথাকথিত কিছু পাগলের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
আসলে সংখাই কম হবার জন্যি আমরা তাদের কে অস্বাভাবিক মনে করি; নতুবা হয়ত বা উল্টোই হত। যারা পাগল হয় তারা কোন কিছুকে একটু বেশী ভালোবাসবার জন্যিই পাগল হয়।
আসলে আমরা কখনও চিন্তা করেছি, আমরা তাদেরকেই পাগল বলি যারা আমাদের মত তথাকথিত স্বাভাবিক মানুষের মত প্রতিনিয়ত নীল নকশা করতে পারে না।
সিনেমাটির কোন চরিত্রকে প্রধান বললে বড়ই অবিচার করা হবে।সকল চরিত্ররই নিখুঁত উপস্থাপনা গল্পটাকে বড় বেশী বাস্তব করে তুলেছিল; আর সেটা কে ত্বরান্বিত করেছে, নচিকেতার দৃশ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ গানগুলো।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১২

কেপিসি, তোমার সাথে আমার দিনগুলো

কর্মমুখর এখনকার দিন গুলি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়, সূর্যাস্ত বেশ কয়েক বছর হল দেখা হয়নি; সূর্যের আলোকেও ভালো মত অনুভব করতে পানি না সময়ের অভাবে। তবুও মনকে তো আর আটকে রাখতে পারিনা, সে তো ছুটে বেড়ায় প্রতিনিয়ত; টেনে হিচড়ে বের করে তার মধ্য লুকিয়ে থাকা সব স্মৃতির ভান্ডার থেকে সব চিন্ময় ঘটনা গুলোকে। অনেক ঘটনা গুলো মরিচায় আচ্ছন্ন, আর কিছু কিছু ঘটনা স্বর্ণালী চাকচিক্য সহকারে মনের জানালায় উঁকি দেয়। আর যখন পরিসংখ্যানে বসি স্বর্ণালী এই স্মৃতি গুলোকে নিয়ে, একটাই পরিচয় পাই- এইতো সেদিনের সেই পাবলিক কলেজের দিন গুলি।১০ বৎসর হয়ে গেল প্রায়; কিন্তু আজও মনে হয় বেশী দিন আগের কথা নয়।

ক্ষুদ্র এই জীবনে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রয়োজনে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদচারনার সুযোগ হয়েছে। তার মধ্য পাবলিক কলেজের আমার ব্যপ্তিকালটি অপেক্ষাকৃত কম সময়ের কারণ আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম একাদশ শ্রেনীতে; আর এজন্য আমার আপশোষ একটুও কম নয়!!! কেন আরো আগে তোমার কাছে যাইনি আমি, কেপিসি?

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের পরই কলেজে ভর্তির জন্য ছুটাছুটি। হারাতে মন চাইছিল না ছোটবেলা থেকে একসাথে বেড়ে উঠা সব বন্ধুদের, ইচ্ছা ছিল ওদের সাথেই কোন এক কলেজে ভর্তি হব। কিন্তু আমার প্রগতিশীল ও সচেতন বাবার ইচ্ছা আমাকে এমন একটি কলেজে ভর্তি করা যেখানে আমি শুধু মাত্র একজন ভালো ছাত্র না, পাশাপাশি একজন আদর্শ মানুষ হয়ে উঠি। তিনি কখনই চাননি যে বেড়ে উঠার সেই বয়সে কোন অবস্থাতেই আমি প্রচলিত নোংরা ছাত্র রাজনীতিতে জড়াই। বিকল্পহীন কেপিসি থেকেই ভর্তি ফরম তুলে আনেন আমার বাবা। আমার ইচ্ছা ছিল না ওখানে ভর্তি হবার; রাগ করে কোন প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম না।

কেপিসি'র প্রথম সাক্ষাত সেই ভর্তি পরীক্ষাতে। সেদিনই আমি মুগ্ধ তোমাতে। জানি না কেন? কিন্তু পরীক্ষা শেষ হবার পর মুহূর্ত থেকে একটাই কামনা ছিল, কেপিসি যেন আমাকে নিরাশ না করে। আমাকে নিরাশ করেনি। ভর্তিও হলাম। বাবার সিদ্বান্ত বান্ধব ও আত্মীয়হীন খুলনাতে থাকতে হলে আমাকে হোস্টলেই থাকতে হবে। তার জন্য আলাদা করে ইন্টারভিউ। তখন আর আমি চেষ্টার ত্রুটি করিনি, কারণ আমি তখন কেপিসি'র ভালোলাগায় মত্ত। আর সেই ইন্টারভিউ বোর্ডেই প্রথম সাক্ষাৎ আমার কলেজ জীবনের সব থেকে প্রিয় শিক্ষক বেনিয়াজ জামান স্যারের। হাউজের সিট বরাদ্দ করা হয়েছিল সেপ্টেম্বর থেকে, কিন্তু ক্লাস শুরু হয়েছিল আগষ্টের মাঝামাঝি সময়ে। কলেজের প্রথম দিনটিতে হাজির না হলেই নয় যদিও সকাল ৮ টার মধ্যে আমার বাড়ী থেকে খুলনাতে হাজির হওয়া খুবই কষ্টের। বিপদ আরো বেড়ে গিয়েছিল কোন এক রাজনৈতিক নেতার নিহত করবার কারনে। সেদিন খুলনাতে হরতাল ডাকা হয়। শত অসুবিধার মধ্যেও আমি কেপিসিকে হারাতে চাইনি একটি দিনের জন্যও। শত কষ্ট উপেক্ষা করে বাবা আমাকে সেদিন পৌছে দিয়েছিল তোমার দাড় প্রান্তে।
প্রথম ক্লাসটি ছিল বাংলার অধ্যাপক হারুন স্যার এর; সেটি কেটে গেল নিজের রোল নং জানতে জানতে। তার পর আসলেন বেনিয়াজ জামান স্যার। উনি আমাদের ক্লাসটিচার ছিলেন। সবাইকে নিজ নিজ পরিচয় দিতে হচ্ছিল; আমি পরিচয় দেওয়া শুরু করা মাত্র স্যার আমাকে আমার নাম ধরে ডেকে বললেন, তোমার হাউজে সিট দেওয়া হয়েছে। স্যারের মুখে আমার নাম উচ্চারণের সাবলীলতা দেখেই মনে হয়ছিল, স্যারের সাথে আমার সময়গুলো খুবই ভালো যাবে।

বাড়ী ছেড়ে হাউজের আসার সময় টা আমার মনকে এখনও আদ্র করে তোলে; মনে পড়ে মা'র অশ্রুসজল চোখ। আমি ছিলাম একটি নতুন অভিজ্ঞতা ও সাময়িক পরিবার থেকে দূরে থাকবার মধ্যবর্তী অনুভবের মাঝখানে। আমাদের নতুন ভর্তি হওয়া ছ'জন বিজ্ঞানের ছাত্রকে দেয়া হয়েছিল ১ নং রুমে। আমি খুব সমস্যা পড়েছিলাম সবার নাম মুখস্ত করতে। তখন হোস্টলে শতাধিক ছাত্র থাকতো, একবারে অত: গুলো নতুন নাম মনে রাখবার চেষ্টা করা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। প্রায়ই মিলিয়ে মিশিয়ে ফেলতাম নাম গুলো। প্রথম সপ্তাহ চলে গিয়েছিল হাউজের ঘন্টার কোড বুঝতে আর তার সাথে কোন কাজ কি ভাবে করতে হবে সেটা জানতে। খুব কষ্ট হত প্রথম প্রথম। সকালে সেই নামাজের ঘন্টা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর ঘন্টা পর্যন্ত। ফাঁকি দেবার কোন উপায় ছিল না প্রিফেক্ট দের জন্য। খুব রাগ হত ওই সব ক্ষমতাধর(!) ছেলে গুলোর জন্য। রাতে খাবার পর দুশ্চিন্তা সহকারে আগ্রহে থাকতাম নিজের নামটা ডাক পড়বে কিনা কারণদর্শানোর জন্য।

কিছু দিন পরই নতুন বছরের জন্য নতুন প্রিফেক্টিয়াল বোর্ডের নাম ঘোষনা হল নবীন বরনের জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। জানতাম না কে কে হবে নতুন প্রিফেক্ট। সবাইকে অবাক করে দিয়ে নতুনদের মধ্য থেকে আমার নামটি উচ্চারিত হয়েছিল। সম্বিত ফিরে আসলে জানলাম, সাংস্কৃতিক প্রিফেক্ট হিসাবে আমি মনোনীত হয়েছি। অনেকেই খুশী হয়েছিল আমাকে পেয়ে। সাথে সাথে আরেকটি নৈমত্তিক দায়িত্ত্ব যোগ হয়েছিল, মাগররিবের আযানের পর সারাদিনের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করবার।অনেকটা আইনের রক্ষকের মত আচরণ করতে হত। এসবের মাঝেও দুষ্টমীর জন্য ছোটখাটো কিছু অপরাধও করেছি, যদিও সেগুলো খুবই কম লোক জানে। বিকালে খেলার সময়ে মাঝে মাঝে খেলা ফাঁকি দিয়ে চলে যেতাম ফুলের বাগান থেকে ফুল চুরি করতে। এক্ষেত্রে আমাদের ৩ সদস্যবিশিষ্ট দল ছিল; যাদের মধ্যে ১ জনের কাজ ছিল তার আকস্মিক ও সন্দেহ জনক আচরণ দিয়ে মালীকে দিশেহারা করে তোলা, আর বাকীরা সেই সুযোগে ফুল চুরি করা। জানতাম এটা অন্যায় তবে তখন এটা করেই ঐ বন্দীদশার মধ্য আনন্দ খুঁজতাম।

একবার কোন এক ছুটির দিনে বেনিয়াজ স্যারের নির্দেশে আকস্মিক ভাবে নেমে পড়লাম এক নাটক মঞ্চস্থ করবার কাজে। সেটা ছিল সাংস্কৃতিক প্রিফেক্ট হিসাবে আমার প্রথম কোন কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই মিলে প্রস্তুতি সেড়ে রাতের খাবারের পরই মঞ্চায়ণ। রবীন্দ্রনাথের 'মুকুট'। এখনও আমি মনে করি সেদিনের সেই নাটক যেই দেখুক না কেন, কেউ বলবে না ওটা আমাদের প্রথম মঞ্চায়ন ছিল। সবার মধ্য চিল একাত্ম হয়ে যাবার তীব্র আকাংখা, নিজেকে অন্যর জন্য বিলিয়ে দেবার বাসনা। সব সময়ই নিজেদের মধ্য চলত সুপ্ত প্রতিযোগীতা। সেটা রাতের খাবারের সময় খাবার টেবিল পরিস্কার করবার প্রতিযোগীতার মধ্যও ফুটে উঠত। সেই সব দিন গুলোতে কখনও মনে হত না আমরা ভিন্ন ভিন্ন পরিবার থেকে ওখানে হাজির হয়েছি। সকলে মিলে যেন আমরা নিজেরাই এক পরিবার। সেই সব সৌভ্রাতৃত্ত্বময় সম্পর্ক শুধু ওখানেই থেমে থাকেনি; আজও চলছে আরো বেশী গুনে, চলবে সহস্র মুহুর্ত।

যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্টানে আমি যাদের সাথে পড়াশোনা করেছি, কেপিসি বাদে সবখানেই সহপাঠীদের মধ্য সম্পর্কের রকমফের থাকে। কাউকে কাউকে আমরা বন্ধু বলে মেনে নিই, আর বাকী সবাই কে সহপাঠী পরিচয় দিয়েই ক্ষান্ত হয়। কিন্তু কেপিসির শ্রেনীবন্ধুদের আমার কখনই সহপাঠী মনে হয়নি। তাদেরকে সব সময় মনে হয়েছে পাঠবন্ধু।সকলের সাথে সকল ছাত্রের যে সুসম্পর্ক সেটা অন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্টানে আছে কিনা সেটা আমার সন্দেহ, থাকলেও হয়ত কেপিসি'স সাথে তুলনীয় নয়।

বুধবারের শ্রেনী শিক্ষকের সাপ্তাহিক ক্লাস আর পাক্ষিক সমাবেশ সহয়তা করেছে আমাদের ব্যক্তিত্ত, নেতৃত্ত্ব, অন্তশ্রেনী সম্পর্ক, আন্ত:শ্রেনী সম্পর্ক, দলীয় শৃঙ্খলা আর প্রতিষ্ঠানের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়াতে। পড়া শোনার পাশাপাশি যে বৈশিষ্ঠ্য গুলো না থাকলে নতুন শতাব্দীর সাথে তাল মিলিয়ে চলা অসম্ভব, কেপিসি তার ব্যবস্থা করেছে অনেক আগে। কেপিসি'র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা তাকে হেয় করা ছাড়া আর কিছুই নয়; আমার সে দু:সাহসও নেই। শুধু আমার মন বলে, তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

নিবেদিত‌প্রাণ অভিজ্ঞ শিক্ষকগন সন্তান স্নেহে কঠোর অনুশাসনের মধ্যে রেখে যে ভাবে আমাদের গড়ে তুলেছেন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সেটা অনুভব করি। গর্ববোধ করি এটা ভেবে, আমি তোমার কাছে ঠাঁই পেয়েছিলাম এটা ভেবে। প্রতিটি শিক্ষকের মুখ মন্ডল আজও স্পষ্ট আমার হৃদয় আঙিনায় তাদের আশীর্বাদ পুষ্ট মায়াবী মুখশ্রীর কারণে। প্রতিটি ক্ষণ তারা বিলিয়েছে আমাদের মাঝে। কী ভাবে ভুলি তাদের নি:স্বার্থ ও সার্থক জীবন তৈরীর ব্রত। আর এসবের সব কিছুতে রয়েছে একজনই; সে কেপিসি।


--
লেখাটি কেপিসি'র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরনিকাতে প্রকাশিত হয়েছে।

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১২

স্বপ্ন নিয়ে নতুন ট্যাগ ও একটি স্বপ্ন

অনেক স্বপ্ন দেখি; কিন্তু সকালে উঠে মনে করতে পারি না। আর যখন পারি তখন চিন্তা করি কেন এরকম স্বপ্নটি দেখলাম। শুনেছি স্বপ্ন নাকি মানুষের চিন্তারই প্রতিফলন। আর কিভাবেইবা সেগুলো আমার চিন্তার আংশ হয় সেটা মিলানোর চেষ্ঠা করি।

গত রাতের স্বপ্নটি ছিল অদ্ভুত রকমের।
আমি বাড়ীর ঠিকানাই একটি চিঠি পেয়েছি, সেটি মূলত একটি প্রবেশ পত্র। আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছে। সব প্রাক্তন শিক্ষার্থীকেই পাঠিয়েছে। জানিনা কিসের পরীক্ষা। কিন্তু আমি সারাদিন ধরে ভাবসম্প্রসারণ, ব্যাকারণ, ব্যাখ্যা এসব পরেছি। কিন্তু পরীক্ষার সময়ে ঠিক মত উপস্থিত হতে পারি নি। যখন পরীক্ষা দিতে যাই, তখন কোন একটি নদীর পাড়ে থেকে দেখতে পেলাম, নদী দিয়ে একটি স্টীমার যাচ্ছে আর তাতে একজন প্রতিরক্ষাবাহিনীর একজন সশস্র ব্যাক্তি দাড়িয়ে আছেন, লোকটি আমার পরিচিত একজন, আমাদের গ্রামেই বাড়ী।

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১২

সচরাচর বুঝতে পারি না

আসুন একটু জেনে নেইঃ

► আপনার যদি বুকজ্বালাপোড়া করে তাহলে চুইংগাম খান এতে বুকজ্বালাপোড়া কমে যাবে!!

► ঠোঁটের কাল দাগ তোলার আরেকটি সমাধান, এক চামচ মাখনের সাথে এক চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর সময় সপ্তাহে ৩দিন ঠোঁটে মাখুন, মানিয়ে গেলে ঠোঁটে স্বাভাবিক রঙ ফিরে আসবে!!

► অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্ত বোধ করলে বেদানার রস খান এতে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে!!

► আপনি যদি খুব বেশি পরিমাণ গাজর খান তবে আপনার গাঁয়ের রঙে কিছুটা পরিবর্তন চলে আসবে!!

► মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারনে, চাঁদ যখন ঠিক মাথার উপরে থাকে তখন পৃথিবীতে উপস্থিত সকল বস্তুর ওজনই খানিকটা কমে যায়!! (খুবই সামান্য)

► একজোড়া হাতির দাঁতের ওজন ৯ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে!!

► সিগারেট ৪৮০০ প্রকার রাসায়নিক বস্তু বহন করে যার মধ্যে ৬৯ টি ক্যন্সার সৃষ্টি করে।

► আপনার দিনে গড়ে ৪০ থেকে ১০০টি চুল ঝরে যায়।

► ভেনাস গ্রহ ঘড়ির কাটার দিকে ঘুড়ে বাকি সব গ্রহ ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুড়ে।

► মুখে দুর্গন্ধ হয়? লবঙ্গ খান এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
► চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লবঙ্গ পিষে লাগালে ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর হয়ে যায়।
► পানির পিপাসা পেলে বা বুকে অস্বস্তি হলে লবঙ্গ খাওয়া দরকার। তাতে পিপাসা মেটে। শরীরে ফুর্তি নিয়ে আসে।
► এটা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে। হাঁপানির মাত্রা কম করে।
► চন্দনের গুঁড়োর সঙ্গে লবঙ্গ পিষে লাগালে ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর হয়ে যায়।
► লবঙ্গ খিদে বাড়ায়।
► লবঙ্গ কফ-কাশি দূর করে।
► লবঙ্গ পেটের কৃমি নাশ করে দেয়।
► লবঙ্গ হজমে সহায়তা করে।

► দাতে ব্যাথা হলে দারুচিনি এর গুড়ো ব্যাবহার করবেন, এতে ব্যাথা কমে যাবে।

► ঠোঁটের কাল দাগ তুলতে কি লাগাবেন?? ধনেপাতার রস ।

► আপনি কি জানেন, মাথায় যে উকুন হয় সেটা নোংরা চুলের চেয়ে পরিষ্কার চুলে থাকতে বেশি পছন্দ করে এবং তুলনামূলক দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে!!

► পেয়াজ কাটার সময় আমাদের চোখে পানি চলে আসে, তাই না?? সমাধান দিচ্ছি!! চুইং গাম চাবাতে থাকুন!! চোখে পানি আসবে না!!

► কুরআনে আল্লাহ্ (الله) শব্দটি ২৫৮৪ বার আছে !! (সুবহানাল্লাহ)

► আপনি জানেন কি?? মশারও দাঁত আছে!!

► এডিসন (Thomas Edison) ছিলেন লাইট বাল্বের আবিস্কারক। তিনি অন্ধকার ভয় পেতেন!!

► ৯ বছর বয়সে আইনস্টাইন অনরগল/সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারতেন না, তখন তার বাবা মা তাকে প্রতিবন্ধী ভেবেছিলেন!!

► একটি জিরাফের বাচ্চা জন্মানোর সময় প্রায় ৫ ফিট উপর থেকে মাটিতে পড়ে, কিন্তু অধিকাংশ সময়ই এরা ব্যাথা পায় না বা আহত হয় না!!

► একটা হাতি ৩ মাইল দূর থেকে পানির গন্ধ পায়!!

► পেঙ্গুইন মাটি/বরফ থেকে ৬ ফিট পর্যন্ত লাফিয়ে উঠতে পারে!!

► বাদুড়ের পায়ের হাড্ডি এতটাই নরম যে, এরা হাঁটতে পারে না!!

*হামিং বার্ড নিয়ে অনেক কিছু আমরা জানি। এটি অনেক ছোট। ওজন এক টাকার কয়েনের মত। কিন্তু এটা কি জানেন যে হামিং বার্ড কখনও হাটেনা। সত্যি বলতে তাদের পায়ের গঠন এত দুর্বল যে তারা হাটতে পারেনা।

*পাখিদের মাঝে উটপাখি সবচেয়ে বড়। এটি উড়তেও পারেনা। কিন্তু মজার ব্যাপার হল উটপাখির চোখ এর মস্তিষ্ক থেকে বড় হয়ে থাকে।

*আমরা নিজেদের আয়নায় দেখি।আয়নায় দেখতে আমাদের নিজেদেরঅনেক ভালো লাগে। কিন্তু কেমন হত যদি আয়নায় নিজেকে আমরা চিনতে না পারতাম? মজার ব্যাপার হল বানর নিজেকে আয়নায় চিনতে পারেনা। বেচারারা বোধহয় মাথা চুলকায়:p

*এখন পর্যন্তু পৃথিবীর বুকে যতো পাখি টিকে আছে তাদের মধ্যেপ্রায় চল্লিশ প্রজাতির পাখি আছে যারা উড়তে পারে না। নাম করতে গেলে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত পাখিগুলো হলো : উটপাখি, কিউই, পেঙ্গুইন, ইমু, মুরগী ইত্যাদি। উড়তে পারে না বলেই ইংরেজীতে এদের বলে ফ্লাইটলেস বার্ড।

► সমুদ্র সমতল থেকে হিসেব করলে পৃথিবীর দ্বিতীয় সবোর্চ্চ শৃঙ্গ পাকিস্তান ও চীন সীমান্তের কে-টু পাহাড়। এর উচ্চতা ২৮ হাজার ২৫১ ফুট (৮ হাজার ৬১১ মিটার)।

► একটা কথা কি জানো হিমালয় পর্বতের যে উচ্চতা রয়েছে তা কিন্তু বাড়ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিবছর প্রায় ৪ মিলিমিটার করে বাড়ছে হিমালয়ের উচ্চতা!

► ২০০৪ সাল পর্যন্ত মোট ২২৪৯ জন অভিযাত্রী এভারেস্ট জয় করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৮৬ জন।

► মানুষের মস্তিকের প্রতি সেকেন্ডে ১০১৫ টি হিসাব করার ক্ষমতা আছে। যা পৃথিবীর সবচে বড় সুপার কম্পিউটারেরও নেই…!!

► মানুষের নিউরনে তথ্য চলাচলের সর্বনিম্ন গতিবেগ হলো ৪১৬ কিমি/ঘন্টা অর্থাৎপ্রায় ২৫৮.৪৯০ মাইল/ঘণ্টা,আর বর্তমান বিশ্বে সবচে দ্রুততম গাড়ি “বুগাত্তি ভেরন ই.বি ১৬.৪” এর গতিবেগ ২৫৩ মাইল/ঘন্টা |

► একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭০০০০ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম |

গড়ে একজন স্বাভাবিক মানুষের দেহের ২৪ঘন্টার কার্যক্রমঃ

► হৃদপিন্ড ১,০৩,৬৮৯ বার স্পন্দিত হয়।

► ফুসফুস ২৩,০৪৫ বার শ্বাসপ্রশ্বাসিত করে।

► রক্ত ১৬,৮০,০০০ মাইল প্রবাহিত হয়।

► নখ ০.০০০০৭ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়।

► চুল ০.০১৭১৫ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়।

► ২.৯ পাউন্ড পানি গ্রহন করে (সকল তরল মিলিয়ে)

► ৩.২৫ পাউন্ড খাদ্য গ্রহন করে।

► শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস গ্রহন করে।

► কথা বলতে ব্যয় হয় ৪,৮০০শব্দ।

► ঘুমের মধ্যে ২৫.৪ বার নড়াচড়া করে।

► পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্লভ মৌল হলো "এস্তেতিন"!! সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ গ্রাম এস্তেতিন আছে!!

► আমরা তো গাছ থেকে সহজেই খাবার পাই। কিন্তু জানেন কি? এক পাউন্ড খাবার তৈরি করতে গাছের প্রায় ১০০ পাউন্ড বৃষ্টির পানি খরচ করতে হয়।

► পৃথিবীর ওজন কতো জানেন? ৬৬-এর ডানপাশে ২০টি শূন্যবসালে যে সংখ্যাটি হয় সেটাই পৃথিবীর ওজন। এবার নিজেই হিসেব করে দেখেন।

► পৃথিবীতে এখনো ৬টি দেশে ইন্টারনেট সেবা নেই!!

► যারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন না তাদের ধারণা তারা স্বপ্ন দেখে না। আসলে প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখে।

► ঘুম ভেঙ্গে যাবার ৫ মিনিট পর স্বপ্নের অর্ধেক স্মৃতি লোপ পায়। দশ মিনিট পর স্বপ্নের ৯০ ভাগ লোপ পায়। স্বপ্ন লিখে রাখুন যদি আপনি মনে রাখতে চান।

► কিছু লোক (প্রায় ১২ ভাগ) সাদা কালো স্বপ্ন দেখে যখন অন্যরা (বাকি ৮৮ ভাগ) রঙিন স্বপ্ন দেখে।

► স্বপ্ন হচ্ছে দৃশ্যমান কোনো বস্তু অপেক্ষা বেশি কিছু এবং অন্ধ লোকও স্বপ্ন দেখে। অন্ধ লোকটি স্বপ্নে ছবি দেখতে পারে কি না তা নির্ভর করে তারা জন্মকালীন অন্ধ বা জন্মের পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কি না তার ওপর।

► স্বপ্ন চলতে থাকার সময় যদি আপনি জেগে যান তবে আপনি সারা রাত ঘুমালে স্বপ্ন যেটুকু মনে রাখতে পারতেন তা অপেক্ষা বেশি মনে রাখতে পারবেন।

► জাপানের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক যন্ত্র যা মনের চিন্তাভাবনার চিত্র দেখতে এমনকি স্বপ্নকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে সক্ষম।

► মশারা নীল রঙের প্রতি দুর্বল!! ঘরের বাতি নীল রঙের হলে মশার সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে!!

► কানাডায় যেই পরিমাণ লেক আছে, সমগ্র পৃথিবীতে একত্রেও সেই পরিমাণ লেক নেই।।

► একটি তিমি মাছের হৃৎপিণ্ড মিনিটে ৯ বার স্পন্দিত হয়!!

► আপনি যদি আপনার মাথা দেয়ালের সাথে একটানা বাড়ি দিতে থাকেন তাহলে ঘণ্টায় ১৫০ ক্যালোরি শক্তি এতে ব্যায় হবে!! :O

► একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া মাত্র ৫ মিনিট টিকতে পারবে |

► একজন মানুষের ব্রেইন,অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর চেয়ে প্রায় ৩ গুন বড়ো হয় |

► আর্লি প্রেগন্যান্সির সময় একটি মানবশিশুর মস্তিস্কে প্রতি মিনিটে ২৫০,০০০ নিউরন সৃষ্টি হতে থাকে |

► সবচেয়ে কম বয়সে মা হন পেরুভিয়ান “লিনা মেদিনা” । তিনি যখন সন্তানের মা হন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর ৭ মাস ২১ দিন ।

► একমাত্র ডলফিন দুই চোখ দিয়ে দুই পাশে দেখতে পারে এবং এক চোখ খোলা রেখে ঘুমাতে পারে ।

► এক গবেষণায় দেখা গেছে যে গড়ে মানুষ “মৃত্যুর” চাইতে “মাকড়সাকে” বেশি ভয় পায় ।

► গিরগিটির জিহ্বার আকার তার শরীরের চেয়েও বড়। যতোবড়ো মোবাইল নয় তত বড় সীম, আর কি!

► আপেল খেতে যতই স্বাদ লাগুক, জেনে নিও আপেলের ৮৪ ভাগই পানি।

► সবচেয়ে ছোট ডাকটিকেটটি ছিলো ৯.৫ x ৮ মিমি। ১৮৬৩ সালে এই টিকেটটি প্রকাশ করেছিলো বলিভারের কলাম্বিয়ান স্টেট।

► ১৯৬৪ সালে সর্বপ্রথম ডাকটিকেটের পেছনে আঁঠা লাগানোর পদ্ধতি চালুকরে “সিয়েরা লিয়ন” নামের আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি।

ছেলেটির নাম এরিক । ওর মায়ের এক চোখ অন্ধ!!
স্কুলের বন্ধুদের সামনে এরিক খুবই বিব্রত হয় ।
একবার ওর মা স্কুলে গেলো খাবার নিয়ে, এরিক চিৎকার করে বললো ''তুমি মরে যাও না কেন? তাহলে আমাকে এই লজ্জা পেতে হয় না বন্ধুদের কাছে । ছিঃ কি বিশ্রি দেখা যায় একটা চোখে যখন তাকাও । "
খুব মনোযোগ দিয়ে এরিক লেখাপড়া করে, কারণ যত দ্রুত সম্ভব সে বড় হয়ে এখান থেকে চলে যেতে চায় ।
খুব ভালো রেজাল্ট করলো এরিক , সেই সাথে প্রতিষ্ঠা !
তার নিজের বাড়ি,গাড়ি,বউ,ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার! একচোখ অন্ধ মায়ের কোন চিহ্নই নেই তার জীবনে ।
এদিকে বৃদ্ধা মৃত্যুর দিন গুনছে আর মরবার আগে একটি বারের জন্য নাতিগুলোর মুখ দেখার লোভ সামলাতে না পেরে ঠিকানা খুঁজে খুঁজে চলে গেলো ছেলের বাড়ি । বৃদ্ধাকে দরজায় দেখে এরিক হুংকার দিলো "কোন সাহসে এসেছো এখানে? দেখছনা তোমাকে দেখে আমার বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে?
দূর হও!!
এর কয়েক বছর পরে স্কুলের পূনর্মিলনীতে বিশেষ অতিথী হয়ে গেলো এরিক! অনুষ্ঠান শেষে কি মনে করে যেন বৃদ্ধাকে দেখতে গেলো । প্রতিবেশী অপর বৃদ্ধা জানালো বছর দুই আগেই তিনি গত হয়েছেন আর যাবার আগে এরিকের জন্য রেখে গেছেন একখানা চিঠিঃ
আমার সোনামনি এরিক,
জানি তুমি তোমার মা কে অনেক ঘৃণা করো । আমি তোমাকে জীবনে কিছুই দিতে পারিনি, দিয়েছি শুধু লজ্জা । মা হিসেবে আমি ব্যর্থ । এ জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। ছোটবেলায় একবার তোমার একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল আর একটা চোখ খুব খারাপ ভাবে আহত হয়েছিল । তুমি সারাজীবন একচোখ দিয়ে দেখবে, মা হিসেবে এটা আমি মেনে নিতে পারিনি, তাই নিজেই বাকি জীবন একচোখ দিয়ে দেখবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ।
আজ তুমি দু'চোখ দিয়ে দেখতে পারছো, আমার কাছে এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই ।
তুমি ভালো থেকো বাবা !!!

** পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এবং নিঃস্বার্থ ভালবাসা হল মায়ের ভালবাসা

► বলুন তো, পানি ছাড়া কে বেশি দিন বেঁচে থাকবে?? মরুর জাহাজ খ্যাত উট?? নাকি বই কাটার ওস্তাদ ইঁদুর?? জানি অনেকেই ভুল করবেন।। কিন্তু সত্যি হলো পানি ছাড়া একটি ইঁদুর, একটি উটের চেয়ে বেশীদিন বেঁচে থাকে!!

► মানুষের সর্দি কাশির জন্য প্রায় ২০০ রকমের ভাইরাস দায়ী৷

► পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের দেহে মাংসপেশী যে পরিমাণ তাপ উত্‍পন্ন করে তা দিয়ে ঘন্টায় ১ লিটার পানি উত্‍পন্ন করা যেতে পারে৷

► পৃথিবীতে মোট ৩০০০ এরও বেশি প্রজাতির মশা আছে!! ( এই জন্যই তো সারাদিন কামড়ায়!!)

► একটি মশার ওজন হতে পারে ২.৫ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ০.০০২৫ গ্রাম!!

► একটি মশার উড়ার গতিবেগ হলো ঘণ্টায় ১ থেকে ১.৫ মাইল!! (এরচেয়ে তো মুরগী ভালো উড়তে পারে!!)

► একটি মশা প্রতি সেকেন্ডে ৩০০-৬০০ বার পাখা নাড়ে!! এদের গুনগুন আওয়াজটা আসলে দ্রুতবেগে পাখা নাড়ার আওয়াজ!! (মশারা তাহলে পাখা দিয়ে গান গায়??)

► মশার ৪৭ খানা দাঁত আছে!! (আর আমাদের মাত্র ৩২টা?? Not Fair!!)

► মশা কিন্তু রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে না!! মূলত রক্তের প্রোটিন অংশটি কাজে লাগিয়ে তারা ডিম পারে!! মশার আসল খাদ্য হলে গাছের রস!!

► মশার আয়ুকাল প্রজাতিবেধে ৫-৬ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে!!

► মশা একসাথে ১০০-৩০০ পর্যন্ত ডিম পারে!! জীবদশায় একটি স্ত্রী মশা ১০০০-৩০০০ ডিম দেয়!! (এই জন্যই তো বলি, ঘরে এতো মশা কেন!!)

* নীল চোখের ব্যাক্তিরা অন্ধকারে বেশি ভাল দেখতে পান।

* একটি প্রজাপতির ৬টি পা, ২ জোড়া ডানা ও ১২,০০০ টি চোখ থাকে।

* হাঙ্গর চোখে দেখতে পায়না, তবে এরা সূক্ষ থেকে সূক্ষ শব্দ সহজেই শুনতে পারে।

* প্রিথিবীর সব পোলার ভাল্লুকেরা বাম হাতে নিজেদের কাজ করে।

* একটি জেলিফিসের দেহের প্রায় ৯৫ শতাংশ জল দিয়ে তৈরী।

► হাঙর হলো একমাত্র মাছ যা দুই চোখের পাতাই বন্ধ করতে সক্ষম!!

► পায়ের নখের চেয়ে হাটের নখ প্রায় ৪ গুন দ্রুত বড় হয়!!

► আপনার হাঁচির গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ মাইল!!

► উটের দুধ দিয়ে দই হয় না!!

► “I am.” হলো ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বাক্য!!

► তাইওয়ানের একটি কোম্পানি গমের তৈরি থালা(প্লেট) তৈরি করে থাকে!! খাওয়া শেষে আপনি খুব সহজেই সেই প্লেটটিও খেয়ে ফেলতে পারেন!!

► মানুষের কান প্রতি বছর একইঞ্চির প্রায় ০.০০৮৭ অংশ করে বাড়ে। ভাগ্যিশ! বেশি বাড়লে শেষে একেবারে গাধারকানের মতো লম্বা হয়ে যেতো!

► মানুষের শরীরের রক্ত শরীরের ভেতর প্রতিদিন ১৬ লাখ ৮০ হাজার মাইল সমান পথ অতিক্রম করে।

► মানুষের নখ প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে।

► প্রতি মিনিটে মানুষের শরীর থেকে প্রায় ৩০০টি মৃত দেহকোষ ঝরে পড়ছে।

► মানুষ প্রতিদিন ৪৩৮ ঘনফুট বাতাস শ্বাস প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহার করে।

► একজন মানুষ প্রতিদিন যে পরিমাণ বাতাস শ্বাস হিসাবে গ্রহণ করে তা দিয়ে একটি নয় ১০০০টি বেলুন ফোলানো সম্ভব!!

► যারা জন্মান্ধ তাদের স্বপ্নে কখনো ছবি থাকেনা, থাকে শুধু শব্দ ।

► ঘুমানোর সময় মানুষের মস্তিষ্ক, জেগে থাকার সময়ের চাইতে বেশী সক্রিয় থাকে ।

► মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে তখন তার চোখের পাতা দ্রুত কাপতে থাকে, এই ব্যাপার টাকে বলে REM বা rapid eye movement . মানুষের মস্তিষ্কের স্বপ্ন দেখার সময় মাত্র ৩০সেকেন্ড থেকে ৩ মিনিটের মত।

► কেউ যখন ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে এর অর্থ হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে না ।

► ব্রাজিলে এক প্রজাতির তেলাপোকা আছে যারা বিশেষ করে ছোট ঘুমন্ত বাচ্চাদের চোখের পাপড়ি খেয়ে ফেলে।

► কুমিরের ছানা পুরুষ না মেয়ে হবে সেটা ডিম ফোটার তাপমাত্রা(incubation temperature) এর উপর নিভর্র করে। ডিম ফোটার তাপমাত্রা ৩১º-৩২º সেঃ হলে পুরুষ ছানা হবে এবং এর থেকে কম হলে মেয়ে ছানা জন্ম নিবে।

► সাপের নাক এবং নাসিকা গহ্বর(nostrils and nasal cavities)থাকা সত্ত্বেও সাপ জিহ্‌বা দিয়ে গন্ধ নেয়।

► নতুন জন্ম নিয়েছে যে শিশু তার চোখে পানি দেখেছেন? না দেখেন নি শুধু কাঁদতেই দেখেছেন। এর কারণ জন্মের পর শিশুর ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ বয়স হলেই কেবল চোখের পানি সৃষ্টি হয়।

► শিশুর জন্মের সময় চোখের আকার যেমন ছিল বড় হবার পর চোখের আকার ঠিক তেমনি থাকে। কিন্তু নাক আর কান সবসময় বৃদ্ধি পায়।একদম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাড়তে থাকে নাক আর কানের আকার ।

► ঘোড়া সবসময় পিছনে লাথি দেয়।(সাবধান ঘোড়ার পিছনে দাড়াবেন না)

► শ্রীলংকা হচ্ছে একমাত্র অমুসলিম দেশ যেখানে টেলিভিশনে এবং রেডিওতে ৫ ওয়াক্ত আযান সম্প্রচার করা হয়ে থাকে!! (সুবহানাল্লাহ)

► শ্বেত ভালুক কোনোরকম বিশ্রাম না নিয়ে একটানা ৬০ মাইল পর্যন্ত সাতার কাটতে পারে!!

► নেপাল একমাত্র দেশ যে দেশের পতাকা চতুর্ভুজ নয়!!

► পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশই হলো মরুভূমি!!

► ডান হাতি মানুষ, বাম হাতি মানুষের চেয়ে গরে ৯ বছর বেশি বাঁচে!! (কে কে বাম হাতি আছেন??)

► পৃথিবীতে বছরে এরোপ্লেন দুর্ঘটনায় যত লোক মারা যায় তার চেয়ে বেশি মারা যায় গাধার আক্রমনে!!

► আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯৫২ সালে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট হবার অফার পান!!

► মানব দেহের হৃত্‍পিন্ডের দৈর্ঘ্য ৪ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ৩ ইঞ্চি৷

► মানুষের হৃত্‍স্পন্দন প্রতি মিনিটে ৭২ বার৷ সেই হিসাবে প্রতিদিন ১০৪,০০০ এবং এক বছরে ৩৮,০০০,০০০ বার৷ এর ফলে প্রতি হৃত্‍স্পন্দনে ৮২ মিলিলিটার রক্ত অর্থাত্‍ প্রতিদিন ৮১৯৩ লিটার রক্ত দেহে ছড়িয়ে পড়ছে৷

► আমরা হৃত্‍পিণ্ডের এই কার্যক্রমকে যদি কাজের এককে পরিণত করি তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ টন৷ যা কোন জিনিসকে ৪১ ফুট বা ১২.৫ মিটার ওপরে ওঠানোর সমান৷