শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০১০

রাজনীতি ও কাইটস

সাধারণত সবাই যেটাকে খারাপ বলে তার মধ্যে ভালো কিছু খুঁজতেই আমার ভালো লাগে। অনেকদিন ধরেই খুব ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও সময়ের অভাবে সিনেমাদুটোকে দেখা হচ্ছিল না। আজ দুটোকেই দেখলাম। সত্যিই খুব ভালো লাগল। আসলে সবাই দুটো ছবি নিয়ে যতটা সমালোচনা করেছিল, ভেবেছিলাম ছবি দুটোকে দেখে হয়ত সময়ই নষ্ট হবে। আমার সেই ধারনা টা ভুল ছিল তখন, সেটা ছবি দেখার পর বুঝতে পারলাম ।

প্রথমে 'রাজনীতি' নিয়েই বলি। কাহিনীটা খুব ই পরিচিত আমাদের এই উপমহাদেশে।আমার কেমন য়েন কাহিনীটা দেখার সময় বারবার মনে হচ্ছিল ভারতের গান্ধী পরিবারীর কথা। কাহিনীর বেশ কিছু সংলাপী আঁচ পীলাম আমাদের পরিচিত অনেক পরিচিত নেতা নেত্রীর কথা, তাদের স্বভাবসুলভ ভাষন। রাজনীতি মানুষকে কিভাবে মানুষের মনুষত্বকে হীন করে তোলে সেটাই সিনেমাতে একটু বেশীই প্রকাশ পেয়েছে। তবে মানুষ যে শুধুমাত্র মনুষত্বের অবক্ষয়ের জন্য রাজনীতিতে আসে না সেটাও একটু দেখানো প্রয়োজন ছিল। যদিও সেরকম ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক। আর এ জন্যই হয়তবা পরিচালক বাস্তব কাহিনীটাকে ঐ সব মেকী কাহিনীর অংশ টেনে এনে থ্রিলার কাহিনী করতে চান নি। সিনেমাটিতে অজয় দেবগনের আরো বেশী অভিনয়ের সুযোগ থাকা উচিত ছিল।
রনবীর কাপুরের অভিনয় প্রশংসার দাবীদার। বেশকিছু দৃশ্যে হিন্দীসিনেমা 'সরকার' এর ছায়া দেখতে পাই। সর্বোপরি, কাহিনীর একেরপর এক সংযোজন বাস্তব রাজনীতিরই প্রতিফলন। প্রকাশ ঝা তার সব সিনেমা গুলোতেই বাস্তবতার এক ঝলক সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। কেউ যদি মনে করে সিনেমা মানেই স্বল্পবাস পরিহিত নায়িকার ঝুমুর ঝুমুর নাচ, নায়কের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার ন্যকামী আর অবশেষে বিয়ে; তাদের ছিনেমার সমালোচনা করাতো দুরের কথা সিনেমা দেখায় উচিত নয়।

অনুরাগ বসুর কাইটস আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি বুঝতেই পারলাম না কখন সিনেমাটি শেষের পথে। বিদেশিনীর অব্যক্ত প্রেমকে পরিচালক খুব সুন্দর ভাবে তার সিনেমাটোগ্রাফির সাহায্য আমাদের সামনে হাজির করেছে। হৃতিকের অভিনয়ও ছিল অসাধারন। মূলত পুরোটা সিনেমা জুড়েই তার উপস্হিতি দর্শকদের আনন্দ দেবার কথা।