শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১১

স্মৃতিতে FDD ও ফ্লপি ডিস্ক

সবার মতন আমিও ভুলতে বসেছিলাম। আসলেই আমরা কতটা সুবিধাবাদী। মনে পড়ে গেল, অব্যবহৃত তোমাকে দেখে। দেখা হত না; কিন্তু প্রতিদিনই তুমি শব্দ কর। কিছু সময় পিট পিট কর, অখন আমি পিসি টা চালু করি। উপেক্ষিত হও প্রতিদিন। আজ আবার হঠাৎ চোখে পড়লে; আর তোমার অজ্ঞাতে আমার মনে পড়ল সেই দিন গুলো।

সাল ২০০০, আমি প্রথম কম্পিউটার প্রশিক্ষনের জন্য খুলনা শহরে একটি নট্রামস্ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে একদিন অন্তর একদিন যাতায়াত শুরু করেছি। খুবই উত্তেজনা ও অনুরাগ কম্পিউটারের প্রতি। বাড়ী থেকে কম্পিউটার কিনে দিনতে আগ্রহী নয় সেই সময়ে। খুব ইচ্ছা হত কিছু একটা কিনি। তখন চোখে পড় তুমি। তোমার ক্ষমতা দেখে আমার একটুও মনে হয়নি তোমার মূল্য অতটা কম। কত কিছু রাখা যায় তোমার মগজে। একদিন সাহস করে একটি কম্পিউটারের দোকানে ঢুকে পড়ি; কিনে আনি তোমাকে। তার পর থেকে প্রতি দিন সংগে নিয়ে যেতাম পকেটে করে। খুব গর্ব করতাম তোমাকে সংগে রেখে।

ব্যবহারের থেকে তোমার সান্নিধ্যটাই ছিল আমার কাছে অনে আনন্দের। কত কিছু করা যেত। পরবর্তীতে পিসি কিনলে সবার আগে আমার নজর ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ কেনবার বিষয়ে। ব্যহারের জন্য কিনেছিলাম ১ ডজনের বেশী ডিস্ক। তার পর আস্তে আস্তে কখন থেকে যে তোমার প্রতি মোহ কাটে গেছে সেটা বুঝতে পারিনি।
কিন্তু আাজ তোমাকে হটাৎ করেই যেন খুব বেশী মিস করছি। ভালো থেকো তুমি।।

একটি এসএমএস: উদ্ভাসিত আগমনী বার্তা

উদ্ভাস ব্রজের আগমনী জানাতে যে খুদেবার্তা পাঠিয়েছিলাম:
A divine messenger has come to call me papa. Kindly pray for his physical, emotional, intellectual and spiritual growth for this world. He is fine with his mom.

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১১

সন্তানের জন্য যাত্রা শুরু

ছুটি নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম সন্তানের আগমনের সময়টাতে তার পাশে থাকবার জন্য। অনেক যোগ বিয়োগ করপে ১ সপ্তাহের একটা বুঝ তৈরী করেছিলাম। আগে একবার যেয়ে ফিরে আসি; পরের বার যাওয়ার আগে তাই বার বার হিসাব করে রওনা দিয়া। ৮ তারিখ দুপুরেই অফিস থেকে বের হওয়া। উদ্দেশ্য ১০ তারিখ স্ত্রীকে নিয়ে ক্লিনিকের উদ্দেশ্য রওনা দেওয়া। মাওয়া ঘাটে সন্ধ্যার শেষ লঞ্চের যাত্রী আমি। মাওয়া ধেকে খুলনা যাওয়ার মাইক্রোবাসও পথে খারাপ হল দু'বার। পথি মধ্যে দাদার সাথে ফোনে আলাপন; আলাপন ছিল শ্যামল দার সাথেও। যাহো কোন মতে ফকিরহাট যেয়ে পৌছালে দাদা এসে মোটর সাইকেলে করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। তখনি শুনলাম,সন্তান আগমনের আঁচ কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আজকেই নয়। বাড়ীতে যেয়ে খেতে বসলেই বুঝতে দেরী হয়নি আজকের রাতটি অনিদ্রাতেই কাটবে।
খেয়ে উঠেই ফোন করা হয়, ডা: লাকীর ক্লিনিকে। বারংবার অনুরোধের পরেও তারা সেরাতে যেথে নিষেধ করে বলে পাশ্ববর্তী কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু আমরা সাহস না পাওয়াতে অনেকটা উদ্দেশ্যহীন ভাবেই মাইক্রোভারা করে আনার জন্য মেজ মামাকে ফোন করা হয়। মামা দেরী করে নি। অসুস্থ শরীরে শ্যামল দা আমাদের বাড়ীতে আসেন এবং বলেন এই মুহূর্তে সব থেকে ভালো সিদ্বান্ত হবে খুলনা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া; কারণ ওখানে যতটা চিকিৎসাজনিত সুবিধা পাওয়া যাবে অন্য কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে তার কানা কড়িও পাওয়া যাবে না।
অনুরোধের কারণে শ্যামল দা অসুস্থ শরীরেও আমাদের ষাথে যেতে রাজী হন। যদিও উনি শেষ রাতের দিকে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হয় সঙ্গে আমার একমাত্র সম্ভল দাদকে নিয়ে। ভর্তি করা হয় লেবার এর জেনারেল ওয়ার্ডে। উদ্দেশ্য ছিল কেবিনে ভর্তি করা। কিন্তু সবাই পরামর্শ দিল, কেবিনে ভর্তি হলে রাতে বার বার ডাক্তাররা যেয়ে দেক আপ করতে আগ্রহী হয় না। সূতরং আপাতত কাছে থাকাটাই ফলপ্রদ হবে।

রুমের মধ্যে প্রবেশ মাত্রজ আমার মধ্য একটা প্রশ্ন দেখা দিল এখানে যেসব ডাক্তাররা ডিউটি করে তারা কিভাবে সেখানে অবস্থান করে। প্রতিনিয়ত হবু মাদের চিৎকার ও চেঁচামিচি নির্দয় মানুষকেও আবেগ তাড়িত ও ভীত করে তুলবে। সারা রাত সেই দৃশ্য অবলোকন করার মধ্যে দিএয় বোধোদয় এখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের হওয়া দরকার। আআমার স্ত্রীর কিছুটা নরমাল ডেলীভারীর ইচ্ছা তাকলেও ওখানে যেযে সেটুকুও দূর হেয় গেল। শ্যামল দাকে বাড়তে এগিয়ে দিয়েই দাদ আবার ফিরে আেস আমার কাছে। সকাল হতে না হতেই ক্লিনিকের সাথে যোগাযোগ করে রওনা দিলাম তার উদ্দেশ্য। সেখানে যেয়ে খুব বেশী দেরী করেত হয়নি। সবাই যেন আমাদের জন্যিই প্রস্তুত ছিল।

অবশেষে সকাল ৯:৪৫ মিনিটে সন্তান তার মায়ের শত কষ্টের অবসান ঘটিয়ে আলোর মুখ দেখে এই ধরণীর। ওর উৎসুক, উৎফুল্ল, উদ্ভাসিত চোখগুলো আমি কখনও ভুলব না।

সতেজ সম্পর্ক ও প্রথম সন্তান

বেশ কয়েকদিন লেখা হয় না। অনেক কিছু হয়েছে এর মধ্য।
গত ৯ই ডিসেম্বর আমি একটু পুরাতন প্রজন্ম হলাম; (অভিজ্ঞ নয়)। আমার স্ত্রীর কোল জুড়ে ( আমার কোলে এখনও সেভাবে রাজত্ত্ব কায়েক করে পারে নি) এসেছে আমাদের প্রথম সন্তান। ওর দৃষ্টি খুব প্রখর ও অনুসন্ধিস্যু। তবে একটু বেশীই কাঁদে; জানি না ভবিষ্যৎ আন্যদের কাঁদানোর কোন পরিকল্পনায় মত্ত কিনা! ওর কান্না শুনে একটি কবিতা আমার মনে পড়ে। কবিতাটির লাইন গুলো হয়ত বা পরিবর্তিত হয়েছে; কিন্তু ভাবটা খুব বেশী পরিবর্তিত হয়নি বলেই আমার ধারণা

প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে
কেঁদেছিলে তুমি একা, হেসেছিল সবে
এমন জীবন তুমি করিবে গঠন
মরণে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন


আমার সন্তান আর ও মাকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকবার কারণে ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট গুলো দেয়া হয়নি। আস্তে আস্তে দেবার চেষ্টা করব।

শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১১

বিনোদিনী'র শত তম প্রদর্শনীতে আমি

কখনও নাটক দেখতে গেলে আগে থেকে পরিকল্পনা থাকে। আজ একটু আকস্মিক সিদ্বান্তে গেলাম। যদিও এই উদ্দেশ্যই প্রথম আলোর বিনোদন পৃষ্ঠাটি খুলে ছিলাম। পেয়ও গেলাম; আজ ছিল 'বিনোদিনী' নাটকের শততম প্রদর্শনী। এইজন্য আগ্রহটা একটু বেড়েই গেল। নাটক দেখি আর না দেখি শত তম প্রদর্শনী কিভাবে পালিত হয় সেটা আবশ্অই দেখা দরকার। যার হাত ধরে মঞ্চনাটক দেখার যাত্রা শুরু, মুক্তার ভাইকে সাথে না রাখলে চলবে কি করে। আবশেষে হাজির সবাই।


নাটক: বিনোদিনী
প্রযোজনা: ঢাকা থিয়েটার
নির্দশনা: নাসির উদ্দিন ইউসুফ
অভিনয়ে: শিমুল ইউসুফ

এটি একটি একক নাটক হলেও, অভিনেত্রীর একের ভিতর বহুর অভিনয় দক্ষতায় পুরোটা সময় মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করতে হয়। শুধু অভিনয় নয়, নাটকের প্রেক্ষাপটটা দর্শকের মন কে আলোড়িত করবে। শিমুল ইউসুফের গায়কী দক্ষতা ও সুর সৃষ্টি করে এক নতুন মাত্রার। নাটকের আবহ সংগীতও পুরোটা নাটকের উপর খুব সুন্দর ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। এক কথায় সন্ধ্যাটার সৌন্দর্য্যই পাল্টে যাবে যেদিন নাটক টি দেখা হবে।